নিউজলেটার

EN

সাম্প্রতিক খবর

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন যে বাংলাদেশের জন্য সৌরবিদ্যুৎ সবচেয়ে উপযোগী বিদ্যুতের উৎস হিসেবে সরকারের অগ্রাধিকারের দাবিদার। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জমি নেই বলে যে ধারণা রয়েছে সেটা ভুল। তিনি রেলওয়ের নিজস্ব জায়গা এবং মহাসড়কের পাশের জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি জমিতে ভবিষ্যতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ কলামের প্রথমেই আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই জমির স্বল্পতার মিথ্যা ধারণাটি যে ভুল সেটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য। আমি তার সঙ্গে একমত যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খুবই সম্ভব, যদি এ ব্যাপারে যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। আমার কলামে আমি আরো কতগুলো সম্ভাব্য স্থানের তালিকা দেব, যেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা যাবে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন যে বাংলাদেশের জন্য সৌরবিদ্যুৎ সবচেয়ে উপযোগী বিদ্যুতের উৎস হিসেবে সরকারের অগ্রাধিকারের দাবিদার। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট জমি নেই বলে যে ধারণা রয়েছে সেটা ভুল। তিনি রেলওয়ের নিজস্ব জায়গা এবং মহাসড়কের পাশের জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি জমিতে ভবিষ্যতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এ কলামের প্রথমেই আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই জমির স্বল্পতার মিথ্যা ধারণাটি যে ভুল সেটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য। আমি তার সঙ্গে একমত যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খুবই সম্ভব, যদি এ ব্যাপারে যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। আমার কলামে আমি আরো কতগুলো সম্ভাব্য স্থানের তালিকা দেব, যেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা যাবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সামিট গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেশের তৃতীয় ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করেছে। তবে মহেশখালীতে ইতোমধ্যেই একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পরিচালনাকারী সামিট এ সিদ্ধান্তকে 'অবৈধ' উল্লেখ করে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। ২০১০ সালের বিশেষ একটি আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রতিযোগিতা ছাড়াই ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ সামিটকে এ চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথমে গত ৭ অক্টোবর চুক্তি বাতিল করে। এক সপ্তাহ পর সামিট এর বিরোধিতা করে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
আগের সরকারের আমলে ইকোনমিক জোন করার ক্ষেত্রে অপরিকল্পিতভাবে উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ইকোনমিক জোন করার সময় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবস্থা একই সঙ্গে করা দরকার ছিল। সেটা করলে এখন শিল্প কারখানাগুলো চালু করতে কোনো সমস্যা হতো না। বেজা এরই মধ্যে পাঁচটি ইকোনমিক জোন বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলারের ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বৈদেশিক অর্থায়নগুলোর চেয়ে এই ঋণের শর্ত অনেকটাই সহজ হবে। এতে ২০২৫ সালজুড়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির প্রয়োজন মেটাতে নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হবে। 'রিভলভিং লেটার অব ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি' নামে এই ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি সংস্থা- মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (মিগা)। সংস্থাটি পেট্রোবাংলার পক্ষে দেশি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জারি করা এলসি বা ঋণপত্রে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেবে, যার সুবাদে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইপিপিএ)-এর এক বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রেল ভবনে সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে বিআইপিপিএ তাদের এই বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে। বিআইপিপিএ জানায়, বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যুতে মাথাপিছু ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৫৩ ডলার। যেখানে ভারতের ১৪ দশমিক ২৯ ডলার, পাকিস্তানের ৮ দশমিক ৭৪ ডলার এবং ভিয়েতনামের মাত্র শূন্য দশমিক ০৪৩১ ডলার। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ২০২৩ সালে বিদ্যুতে ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে।
তিন বছর ধরে নিয়মিত বকেয়া অর্থ পরিশোধের চাপে আছে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। অর্থসংকটে থাকায় বিল দিতে পারছে না পিডিবি ও পেট্রোবাংলা। আবার চাহিদামতো ডলার না পাওয়ায় বিদেশি কোম্পানির বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। পিডিবি ও পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে বকেয়া বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা।