নিউজলেটার

EN

সাম্প্রতিক খবর

প্রস্তাবিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংকীর্ণ লক্ষ্যমাত্রার কারণে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। এর বদলে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা আরও বেশি মুনাফাভোগী হবে। এতে জনগণের ওপর নতুন করে আর্থিক চাপ বাড়বে। আজ (রোববার) উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)-এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংকীর্ণ লক্ষ্যমাত্রার কারণে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। এর বদলে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা আরও বেশি মুনাফাভোগী হবে। এতে জনগণের ওপর নতুন করে আর্থিক চাপ বাড়বে। আজ (রোববার) উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)-এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, প্রস্তাবিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালাটি প্রণয়নে সরকার বেশ তাড়াহুড়ো করছে। ফলে একটি দায়সারা ড্রাফট লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারের ভিন্ন ভিন্ন পলিসিতে ভিন্ন ভিন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনা থাকায় বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিকল্পনাগুলো অত্যন্ত সুসংহত হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ততটা সুসংগঠিত নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমান জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার সম্ভব নয়।
২০১৮ সালে প্রথম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। ওই বছর ২৫ এপ্রিল প্রথম জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং এ ব্যবসায় যুক্ত হয়। গ্যাসের সংকটের কারণে বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করেই এলএনজিতে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে টানা বেড়েছে এলএনজি আমদানি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নরওয়ের সাবেক উন্নয়ন ও পরিবেশমন্ত্রী এরিক সোলহেইমের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার (২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে সাক্ষাৎ করেছেন। বাংলাদেশ সামনের বছরগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানি সহজীকরণে আরও মনোনিবেশ করায় প্রতিনিধিদলটি নেপালে ক্ষুদ্র আকারের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কার্বন মার্কেট, কৃষিবনায়ন এবং যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ব্যবসায়ী সমাজ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের শিল্পখাতকে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির দিকে স্থানান্তরে সহায়তা করেন। গত দুই বছরে জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতির কারণে শিল্পখাত সংকটে পড়েছে। শিল্প ও দেশের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি।
২০২৪ সালে অন্যান্য সব জ্বালানির তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার হয়েছে ৪০ শতাংশ বেশি। সড়ক পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে তেলের পরিবর্তে গ্যাসের ব্যবহার চালু হওয়ায় এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে বছরান্তে এ হার বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। যদিও চাহিদার বিপরীতে গেল বছরে এলএনজির সরবরাহ বেড়েছে আড়াই শতাংশ বা ১৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার।