নিউজলেটার

EN

সাম্প্রতিক খবর

এশিয়ার অনেক দেশ এখন সক্ষমতার অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সে লক্ষ্যে এগিয়েছে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এক দশকে দেশের মোট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ শতাংশ পার হতে পারেনি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ) তার সদস্যরাষ্ট্রগুলোর নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। আগামী তিন বছর এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে দেওয়া ভর্তুকি কমিয়ে আনতে চায় তারা। সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে, সুতরাং এ খাতে ভর্তুকি কমানো হলে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। তবে তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন খাতের শিল্পকারখানার উদ্যোক্তারা।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) তথ্য অনুযায়ী, দেশে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমেই উৎপাদিত হয়। বাকি ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ বায়ুবিদ্যুৎসহ অন্যান্য শক্তির মাধ্যমে উৎপাদন হয়। সৌরবিদ্যুতের উৎসের মধ্যে রয়েছে সোলার হোম সিস্টেম, সোলার মিনি-গ্রিড, সৌর সেচ, সোলার রুফটপ, ওয়ার্কশপ, নেট মিটারিং রুফটপ সোলার প্রোগ্রাম, সোলার (সৌর) পার্ক, সোলার (সৌর) ওয়াটার হিটিং সিস্টেম, পানীয় জলের জন্য সোলার (সৌর) পাম্প ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়েই বাড়ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বাড়তি উৎপাদন খরচের কারণে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদন দুটোই বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বড় সম্ভাবনা এখন সৌরবিদ্যুতে। দেশে উৎপাদিত হচ্ছে এ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি। সৌরবিদ্যুতের বর্তমান চিত্র ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে এই আয়োজন।
স্বনির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ |
দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়ানোর দিকে গেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে দিনে ১১০ কোটি এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা আছে দেশে। নতুন করে আরও টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহে চুক্তি করা হচ্ছে। তবে সক্ষমতা বাড়লেও আর্থিক পরিস্থিতির কারণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো কঠিন হবে।
গত ১৫ বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে সরকার। চাহিদা না থাকলেও সরকারি-বেসরকারি খাতে একের পর এক নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র। যদিও জ্বালানি সংকটের কারণে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতার বড় অংশই বসে থাকছে। এতে বসিয়ে রেখে দিতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। আর লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। বিশেষত মধ্যরাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় লোডশেডিং হচ্ছে।