পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতের সব সংকটই বাংলাদেশে দৃশ্যমান

বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি উৎপাদন কেন্দ্রের (আইপিপি) আধিপত্য বেশি। আবার দুই দেশে বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণের ক্ষেত্রে শর্ত ও কাঠামোও অনেকটাই সমজাতীয়। দুই দেশেই বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো লাভজনকভাবে ব্যবসা করলেও দায় ও আর্থিক চাপে পড়েছে রাষ্ট্র ও জনসাধারণ।

দুই মাসে বিদ্যুতের দাম তৃতীয় দফা বাড়িয়েও কি লোডশেডিং থেকে মুক্তি মিলবে?

পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি ডি রহমতউল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’গরমের সময় লোডশেডিং এবারও হবে। তার কারণ হলো, এটার পেছনে যেসব প্রধান সমস্যা, তা তো দূর হয়নি। জ্বালানি সংকট তো থেকেই যাচ্ছে। আমাদের দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ক্রাইসিস আছে। এলএনজি বা এলপিজি দাম অনেক চড়া, সেই পয়সা আমাদের নেই। কয়লা যদি কিনতে হয়, অনেক টাকা, সেটাও নেই। তেলের দামও চড়া, সেখানেও পয়সা নাই, ডলারের দামও বেশি। এসব মিলে আর বিতরণ ব্যবস্থা মিলিয়ে আমার মনে হয়, এবার গরমে তীব্র সংকট দেখা দেয়ার সম্ভাবনা আছে’’।

বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ল

এর আগে গত জানুয়ারিতে দুই দফায় বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। এটি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই ভাগে কার্যকর হয়েছে। সবশেষ ৩০ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম।বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে এ বছর প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করছে সরকার। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম।

কাতারের কাছে আরও এলএনজি চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে বার্ষিক আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিএ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের আমিরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আমাদের এনার্জির বড় সমস্যা হয়েছে। আমরা আরও বেশি জ্বালানি চাই। এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে বছরে প্রায় ৪০ কনটেইনার জ্বালানি, অর্থাৎ ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি করে। যেটা আমরা নিচ্ছি সেটা আমরা নবায়ন করবো। সেই সঙ্গে আমরা আরও বেশি এলএনজি চাই।

Summer looks bleak for life, economy

The upcoming summer appears to be unbearable, even more than the last one, amidst fears of the load shedding climbing up to 3,000 MW, said energy experts and government power officials, analysing the measures taken for tackling the dramatic increase the electricity demand will see in weeks from now.Even the capital Dhaka and readymade garment industry hubs such as Narayanganj and Gazipur witnessed six hours of power cuts last summer on days authorities shed less than 1,500 MW loads amidst rolling power cuts slapped for tackling an imminent dollar crisis in mid-July.

ডলার সংকটে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

ডলার সংকটে ফার্নেস তেল নির্ভর বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জ্বালানি ঘাটতিতে পড়ছে। এর ফলে আসন্ন গ্রীষ্মের মাসগুলোতে দেশে লোডশেডিং বাড়তে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার পাঠানো একটি চিঠি অনুসারে, পর্যাপ্ত জ্বালানি আমদানির জন্য আগামী মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে, যা মার্চ থেকে জুনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জ্বালানির যে অনুমান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) করেছে তার চেয়ে এক-চতুর্থাংশ বেশি।

Tight LNG supplies to continue through 2025: IEEFA

Record high prices and unreliable supplies in 2022 have hampered long-term LNG demand growth in Europe and Asia. India, Bangladesh, and Pakistan reduced LNG demand by 16% last year. The report noted that existing contractors could not increase LNG supplies, so these countries may have to meet their LNG demand from volatile spot markets for the foreseeable future.

গ্যাস–বিদ্যুতে আর কত ভর্তুকি দেওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে, যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে, সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেওয়া যাবে।

Clean energy will reduce our fiscal burden

Bangladesh’s energy and power sectors continue to experience the pinch due to its reliance on expensive imported liquefied natural gas (LNG), coal and oil. This is increasing the country’s fiscal burden, eventually prompting the government to pass the cost on to the consumers. For instance, amid the high fossil fuel costs, the government raised the price of electricity twice in a span of 20 days in January 2023. Between these electricity price hikes, the government increased gas prices from 14 percent to 179 percent for different sectors.

ডলারে চুক্তি, খেসারত দিচ্ছে পিডিবি

দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ১০ শতাংশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এ লক্ষ্য অর্জনে সৌরশক্তি সর্বাধিক কাজে লাগানোকে প্রধান হিসেবে ধরা হয়েছিল। ২০২১ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা থাকলেও মূলত জমির স্বল্পতার কারণে তা সফল হয়নি। তবে লক্ষ্য অর্জনে কাজ চলছে।