নিউজলেটার

EN

জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোর অসামঞ্জস্যই বাংলাদেশে নবানোযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণে বাধা

বাংলাদেশের জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোতে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা সংক্রান্ত দলিলপত্রে বিপুল অসঙ্গতি রয়েছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি দেশটির নীতনির্ধারকদের পক্ষপাতকেই জানান দেয় বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

ইমরান হোসেন

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেক নীতিমালায় একেক রকম বক্তব্যের কারণে মানুষ জ্বালানি সংক্রান্ত সঠিক সমাধানটি বেছে নিতে না এবং প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তই থেকে যাচ্ছে। যে বিকল্প সমাধান গ্রহণ করলে কোটি কোটি টাকার জ্বালানি সংক্রান্ত ব্যয় এড়ানো যেত এবং কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব হতো বাংলাদেশের পক্ষে।

জ্বালানি খাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৩২ বিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছে, যার সিংহভাগই ছিলো জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্রিক। এতে করে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে পড়ে এবং অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার বোঝা ৫০ শতাংশে পৌঁছায়। সদ্য সাবেক আওয়ামিলীগ সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিগুলো বারংবার পরিবর্তন করেছে, যার কারণে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত আজও একটি টেকসই সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংশোধিত খসড়া, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রাগুলোর মধ্যে তুলনা করলেই বাংলাদেশের বিগত সরকারের জ্বালানি নীতি সম্পর্কে মোটাদাগে একটি ধারনা পাওয়া যায়।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংশোধিত খসড়া, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রাগুলোর মধ্যে তুলনা করলেই বাংলাদেশের বিগত সরকারের জ্বালানি নীতি সম্পর্কে মোটাদাগে একটি ধারনা পাওয়া যায়।

২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির নতুন সংশোধিত খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ খসড়া মোতাবেক জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির হার ২০২৫ সালে ১০ শতাংশ, ২০৩০ সালে ২০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

অন্যদিকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালে ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালে ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় অবশ্য ২০৭০ সাল পর্যন্ত কোনও নেট জিরো পরিকল্পনার কথা বলা হয়নি। বরং হাইড্রোজেন জ্বালানি, অ্যামোনিয়া কো-ফায়ারিং এবং কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ প্রযুক্তির মতো উন্নত প্রযুক্তি অনুসরণ করে এলএনজি এবং কয়লার মত জীবাশ্ম জ্বালানীর উপরই ভরসা করা হয় এতে।

২০২৩ সালে প্রণীত সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা ৯ শতাংশ হ্রাস করে ৩১ শতাংশে আনা হয়। কারণ এখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। মহাপরিকল্পনায় ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে প্রায় ৩১ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে এসব ‘উন্নত প্রযুক্তি’-কে বিপুল কার্বন নিঃসরণের দায়ে ভুল জ্বালানি সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ প্রযুক্তিগুলো প্রমাণিতও নয় এবং জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে ৩০০ শতাংশ বেশি ব্যয়বহুল।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তি বলেন, “পরস্পরবিরোধী নীতি ও পরিকল্পনা লক্ষ্য অর্জনের অন্তরায়।”

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রায় এই পরিবর্তনের ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে আমাদের অগ্রগতি স্লথ হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে বাংলাদেশে বর্তমান স্থাপিত বিদ্যুৎ সক্ষমতার ৫ শতাংশেরও কম নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে আসে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংশোধিত খসড়ায় কর মওকুফ ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে লেবেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলা হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে দীর্ঘদিন ধরে কর মওকুফের হার ছিল ১০ শতাংশ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা প্রয়োজনীয় জমির দু:ষ্প্রাপ্যতা। বছরের পর বছর ধরে জীবাশ্ম জ্বালানী প্রকল্পের জন্য জমির বন্দোবস্ত করে আসছে স্বয়ং সরকার। অথচ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বেলায় জমি অনুসন্ধানের দায়িত্বটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের উপর ছেড়ে দিয়েছে তারা। জমি না পাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় কোনও দিক নির্দেশনা নেই। এতে বরং নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনেকগুলি সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় ৫০-৫০ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের কথা বলা হয়েছে। জ্বালানি রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের কত শতাংশ দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগ বা বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের মাধ্যমে আসবে তা নির্ধারণ না করে মহাপরিকল্পনায় কেবল সরকারি খাতের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়েছিলো, তবে তাতে কোনও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ধারনা করা হয়, কেবল আগামী এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি বাবদ প্রতি বছর কমপক্ষে ১.৭ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১২,০০০ নতুন কর্মসংস্থান এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

সিপিডি এক পর্যালোচনায় বলেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংশোধিত খসড়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প হিসেবে জৈব জ্বালানি, সৌর বিদ্যুৎ ভিত্তিক সেচ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির আঞ্চলিক বাণিজ্যে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মূল নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি সৌরবিদ্যুৎ নির্ভর ছিল।

মূল নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিটি জ্বালানির প্রাপ্যতা, কার্বন নি:সরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তার উপর গুরুত্বারোপ করে। সংশোধিত খসড়াটির একটি ব্যপকতর দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কারণ এতে দক্ষ, টেকসই, নিরাপদ, সাশ্রয়ী মূল্যের, প্রতিযোগিতামূলক এবং পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হয়। সংশোধিত খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে প্রচলিত হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সিপিডি সাধারণ হাইড্রোজেন তৈরির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য হাইড্রোজেন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সংশোধিত খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা—উভয়ই নিম্ন-কার্বন প্রযুক্তি অবলম্বনকে উৎসাহিত করার সুপারিশ করেছিল। নিম্নকার্বন প্রযুক্তির ব্যবহার আদতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার অব্যহত রাখারই নামান্তর।

সিপিডি বলছে, নীতিমালার খসড়ায় বিভিন্ন জ্বালানি মিশ্রণের জন্য মোটামুটি সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্রণোদনা থাকলেও সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ভর্তুকির নীতি কাঠামো সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রণীত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বহু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

কিন্তু ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নীরবে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য ও দূষণমুক্ত জ্বালানির বিকল্প ব্যবহার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা ‘৪০ শতাংশ’ থেকে পরিবর্তন করে ‘৪০ শতাংশ পর্যন্ত’ করা হয়।

গ্রিন অ্যাক্টিভিস্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর সদস্য সচিব হাসান মেহেদী বলেন, “এই পরিবর্তন নীতিমালাটিকে একেবারে নখদন্তহীন করে ফেলেছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণকে অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সিপিডি এক বিশ্লেষণে জ্বালানি খাতের তিনটি নীতিমালাকে ১৭টি ক্যাটাগরিতে তুলনা করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস সম্পর্কে, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানী মহাপরিকল্পনায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির খসড়ায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে না, কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি আবার এ বিষয়ে ইতিবাচক।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনার ঘাটতি আছে। এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় এ সম্পর্কে কিছুই বলা নেই।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং সংশোধিত খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা অনুপস্থিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকে সমর্থন করে।

প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের বিষয়টি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় আলোচনা করা হয়েছে তবে খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে উপেক্ষা করা হয়েছে।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাগুলি কাজে লাগাতে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সহায়ক বলে মনে করা হয় তবে বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা এ জাতীয় পরিকল্পনা নেই।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বৈদ্যুৎ চালিত যানবাহনকে উৎসাহিত করা হয়, কিন্তু বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় এ সম্পর্কে নীরবতা অনুসরণ করা হয় এবং এই বিষয়ে খসড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালাটির অবস্থানও স্পষ্ট নয়।

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বিকল্প জ্বালানীকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, অথচ বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় এ সম্পর্কে কোনো কথাই বলা হয়নি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় জ্বালানি দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় আলোচিত হয়নি।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান বলেন, “অসামঞ্জস্যগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনাকে ব্যহত করে। স্বাভাবিক কারণেই পরিকল্পনাগুলোতে নীতিমালাগুলোকে অনুসরণ করা উচিত কথা ছিল।“

২০১০ সালের পর নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন খরচ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হলেও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় আবার তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

জাকির বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানিতে অতিনির্ভরতার কারণে আমাদের অর্থনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দেওয়ার বেলায় ব্যর্থতা আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

Related Analysis

জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোর অসামঞ্জস্যই বাংলাদেশে নবানোযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণে বাধা

বাংলাদেশের জ্বালানি সংক্রান্ত নীতিমালাগুলোতে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা সংক্রান্ত দলিলপত্রে বিপুল অসঙ্গতি রয়েছে, যা

Read More »